স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তিতা করলার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতার কথা বিভিন্ন প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ করেন। তিতা করলা ভাজি, সবজি ছাড়াও কাঁচা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়, বা জুস বানিয়ে খাওয়া যায়।
তিতা করলা নিয়মিতভাবে খাবারের তালিকায় রাখলে শরীরের অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ভালো থাকা যায়। তাই আজকে তিতা করলার ৮টি উপকারিতার কথা আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
বাতের ব্যথা উপশমে তিতা করলার উপকারিতাঃ
যাদের শরীরে বাতের ব্যাথা আছে বা সারা শরীরে ব্যাথা করে তারা প্রতিষেধক হিসেবে তিতা করলা খেতে পারেন। যাদের এই ধরনের বাতের সমস্যা আছে তারা ১ চা-চামচ তিতা করলার রস এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে যদি দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন, তাহলে বাতের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
জ্বরের সমস্যা সমাধানে তিতা করলার উপকারিতাঃ
করলা পাতার রস খেলে জ্বর খুব দ্রুত ভাবে সেরে যায়। আর যাদের ম্যালেরিয়া জনিত জ্বর হয়ে থাকে, তারা করলার পাতার রসের সাথে কয়েক টি গোল মরিচ মিশিয়ে যদি আপনারা পেস্ট করে বা ব্লেন্ডার করে খেতে পারেন তাহলে ম্যালেরিয়া জনিত জ্বর থেকেও দ্রুত আরোগ্য হতে পারবেন।
মুখে রুচি আনতে তিতা করলার উপকারিতাঃ
যাদের মুখে রুচি নেই বা খাবার খাওয়ার আগ্রহ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, যার কারণে শরীর দিনদিন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তারা নিয়মিত করে সকালে এবং বিকেলে ২ চা চামচ করে তিতা করলার রস খেয়ে দেখতে পারেন। এতে করে মুখে রুচি আসে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে তিতা করলার উপকারিতাঃ
ক্যান্সার প্রতিরোধে তিতা করলার ভূমিকা অনেক বেশি কার্যকরী। তিতা করলার মধ্যে থাকা লাইপোপ্রোটিন যেটা আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ তৈরি করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তিতা করলার মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি, লৌহ এবং আরো অনেক উপকারী উপাদান যা শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।
শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে তিতা করলার উপকারিতাঃ
যাদের রক্তের মধ্যে সুগার লেভেল বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিসের মতো মহামারী সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারা তিতা করলার রস কে প্রতিষেধক হিসাবে খেতে পারেন। কারন তিতা করলার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যাডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইমের কারণে এটি আমাদের রক্ত থেকে সুগার লেভেল দ্রুত কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
হজমক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে তিতা করলার উপকারিতাঃ
তিতা করলার অনেক ধরনের উপকার এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকারী দিক হল একটি হজমক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে দ্রুত কাজ করে। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা দূর করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত তিতা করলার রস বা তিতা করোলা সবজি হিসেবে খেতে পারেন।
তিতা করোলা শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখেঃ
আমাদের শরীরের দুই ধরনের কোলেস্ট্রল জমতে দেখা যায়। একটি আমাদের শরীরের জন্য ভালো আরেকটি আমাদের শরীরের জন্য খারাপ। তিতা করলার রস বা তিতা করলার সবজি আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সহযোগিতা করে।
তিতা করলার এসব উপকারী দিক ছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। তাই শরীরের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে খাবারের তালিকায় তিতা করোলা যোগ করে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য চেষ্টা করব।