লেটুস পাতার নানা উপকারিতা ও গুণ

আজকালকার দিনে লেটুসপাতা চিনে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। কারণ বর্তমানে আমরা আমাদের প্রতিটা সবজির ক্ষেত্রে বা প্রতিটা স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে লেটুসপাতা খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারি। বাজারে এর অধিক চাহিদা থাকার কারণে এটি সারা বছরে আমরা পেয়ে থাকি। আজকে আপনাদের সাথে লেটুস পাতার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।

লেটুস পাতার উপকারিতাঃ

প্রায় অনেকেই লেটুসপাতা কে বাঁধাকপি বলে ভুল করে থাকে। কারণ লেটুস পাতা দেখতে হুবহু বাঁধাকপির পাতার মত দেখা যায়। কিন্তু লেটুস পাতার উপকারিতা যদি আমরা বলতে যাই তাহলে বলে শেষ করা যাবে না। কারণ রান্না করা ছাড়াও লেটুসপাতা আমাদের অনেক ধরনের উপকার করে থাকে।

লেটুস পাতার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান সমূহঃ 

লেটুসপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিন সমৃদ্ধ উপাদানসমূহ। এছাড়া লেটুস পাতার মধ্যে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, পটাশিয়াম, ফসফরাস প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও লেটুস পাতার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা পূরণ করতে কাজ করে থাকে।

আঁশযুক্ত খাবার হিসাবে লেটুস পাতার উপকারিতাঃ

আঁশযুক্ত খাবার হিসাবে লেটুস পাতার উপকারিতা অনেক বেশি। আমাদের শরীরকে টক্সিনমুক্ত এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে আমাদের আঁশযুক্ত খাবার পাওয়া খুবই দরকার। লেটুস পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের হজম ক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে খুব দ্রুত ভাবে কাজ করতে পারে।

ঠান্ডা জনিত সমস্যা রোধ করতে লেটুস পাতার উপকারিতাঃ

লেটুস পাতার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি টুয়েলভ, ভিটামিন বি টু,  প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে খুবই স্ট্রং করে। পাশাপাশি লেটুস পাতার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম থাকার কারণে এটি আমাদের ফুসফুস জনিত সমস্যা বা কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থেকে আমাদেরকে দূরে রাখতে সহযোগিতা করে। তাই খাবারের মধ্যে সালাত আকারে আমরা যদি নিয়মিতভাবে লেটুসপাতা রাখি তাহলে আমরা এই সমস্যাগুলো থেকে দূরে থাকতে পারব।

ত্বকের যত্নে লেটুস পাতার উপকারিতাঃ

লেটুস পাতার ব্যবহার শুরু রান্নার মধ্যেই বা সবজি হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের ত্বকের যত্নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেটুস পাতার মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আমাদের ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কাজ করে। পাশাপাশি নিয়মিত লেটুস পাতা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে বার্ধক্য দেরীতে আসে। ফলে দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে লেটুস পাতার ভূমিকা অনেক বেশি।

রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে লেটুস পাতার উপকারিতাঃ

লেটুস পাতার মধ্যে অন্যান্য উপাদান ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা আমাদের শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে থাকে। তাই যাদের রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে তারা নিয়মিত খাবারের তালিকায় লেটুস পাতার সালাদ বা সবজি রাখার চেষ্টা করুন।

ক্যালসিয়াম তৈরি করতে লেটুস পাতার উপকারিতাঃ

যেহেতু লেটুসপাতা একটি আঁশযুক্ত খাবার। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। যা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দূরীভূত হয়। ফলে ক্যালসিয়ামের অভাবে যাদের হাড়ে ক্ষয় রোগ হওয়া শুরু করেছে তারা এ সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবে, যদি নিয়মিত খাবারের তালিকায় লেটুসপাতা যোগ করে থাকে।

সুতরাং বন্ধুরা, পরিশেষে বলা যায় লেটুসপাতা শুধু বার্গার বা ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের সাথে না খেয়ে এটি আমাদের দৈনন্দিন খাবারের সাথে যোগ করে নিব সালাত হিসাবে বা সবজি হিসাবে।

 

  

 

   

 

Leave a Comment