কম খাওয়ার উপকারিতা

একটা সময় ছিল মানুষ যখন শুধু মোটা হতে চাইতো। বেশি বেশি খেয়ে মোটা হওয়ার একটা আকাঙ্ক্ষা একটা সময় সবারই ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি মোটা বা স্থূলতা শরীরের জন্য অনেক ভয়ানক একটা সমস্যা। এটা একদিকে যেরকম আমাদের শরীরের আকার পরিবর্তন করে দিয়ে রোগের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে এটি আমাদের সৌন্দর্যকেও ধীরে ধীরে নষ্ট করে ফেলে।

তাই বর্তমান সময়ে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক প্রত্যেকেই স্লিম থাকার বিষয়টি খুব ভালোভাবে মেন্টেন করতেছে।

নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য কেন আপনি কম খাবেন????

যদি আপনি নিজেকে সুস্থ এবং স্লিম রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে খাবারের দিকে প্রথমে নজর দিতে হবে। কারণ আমাদের শরীরের আকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হল খাবার। যদি আপনি বেশি খান তাহলে আপনি মোটা হয়ে যাবেন। আর যদি আপনি কম পরিমাণে খাবার খান তাহলে আপনার শরীর অতিরিক্ত স্থূলতা থেকে মুক্ত হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য কেন আপনি কোন খাবার খাবেন????

আপনাকে কিন্তু বলা হচ্ছে না আপনি খাবার একেবারেই না খান।  খাবার কম খাওয়ার অর্থ হচ্ছে এক বারেই আপনি যেন অনেক খাবার খেয়ে না ফেলেন।

আপনি অবশ্যই খাবার খাবেন কিন্তু তা পরিমাণে অল্প অল্প।  প্রয়োজনে দিনে তিন থেকে চারবার খাবার খান। কিন্তু সেটা হবে একেবারে অল্প পরিমাণে। যতটুকু আমার শরীরের ক্যালরি প্রয়োজন, আমরা ঠিক ততটুকুই খাওয়ার চেষ্টা করব।

কম খাওয়ার উপকারিতাঃ

খাবার কম খেলে যে উপকারিতাগুলো আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন তা নিম্নে দেওয়া হল……

কম খাবার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কাজ করবেঃ

অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে কোলেস্টেরল এবং চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে মানুষ স্ট্রোক করে ফেলে। শরীরে কোলেস্ট্রল এবং চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায় যখন আমরা অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খেয়ে থাকি। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে আমাদেরকে অবশ্যই খাবার কম খেতে হবে।

ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে রাখতে কম খাওয়ার উপকারিতাঃ

শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে আমাদের শরীর ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তাই অবশ্য আমাদের শর্করা জাতীয় খাবার কম খেতে হবে যদি আমরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।

কম খাবার হজমে সহায়তা করেঃ

আপনার পাকস্থলী যতটুকু খাবার হজম করতে পারবে তার চেয়ে যদি আপনি কম পরিমাণে খাবার খান, তাহলে সেটি হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে। অতিরিক্ত পরিমাণে বেশি খাবার খেয়ে ফেললে আমাদের খাবারগুলা হজম হতে সমস্যা হয়। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং কোলন ক্যান্সারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পাকস্থলীর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই আমাদের কম খাবার খাওয়া দরকার।

দীর্ঘদিন নিজেকে ইয়ং দেখাতে কম খাবার খাওয়ার উপকারিতাঃ

আপনি যদি দীর্ঘদিন নিজেকে ইয়ং রাখতে চান, অথবা যৌবন ধরে রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে স্লিম থাকতে হবে। আর স্লিম থাকার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে খাবার খাওয়ার প্রতি যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। সব খাবার পরিমাণ মত খেতে হবে।

 

     

 

Leave a Comment