ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা করতে বেসনের ফেসপ্যাক

আমাদের মধ্যে নানা কারণে ত্বকের দাগ সৃষ্টি হয় তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো ব্রণ, ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া ও ত্বকের যত্ন নেওয়া । যে কারণে আমাদের ত্বকের মধ্যে দাগ হোক না কেন আমরা সবাই চাই আমাদের ত্বককে সুন্দর দাগহীন নিখুঁত রাখতে।

আপনারা যারা নিজেদের ত্বককে দাগেন সুন্দর এবং নিখুঁত রাখতে চান তাদের জন্য আজকে আমার এই পোষ্ট টি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বেসনের ফেসপ্যাক। এ ফেইস প্যাক গুলো ত্বকের দাগ দূর করে দিয়ে ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

চলুন তাহলে ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা করতে বেসনের ফেসপ্যাক গুলোকে কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে তার সঠিক নিয়ম গুলো জেনে নিই।

আলুর রস , ভিটামিন ই এবং বেসনের ফেইসপ্যাকঃ

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

আধা কাপ আলুর রস
দুইটি ভিটামিন ই
এবং দুই চামচ বেসন

তৈরি ও ব্যবহারের সঠিক নিয়মঃ

সবার প্রথমে একটি মাঝারি সাইজের আলু নিয়ে এর খোসা ছাড়িয়ে এটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এটি ব্লেন্ড করার পর ঝাঁকুনির সাহায্যে থেকে রস বের করে নিতে হবে।

আলুর রস বের করার পর একটি পরিষ্কার বাটিতে হাফ কাপ আলুর রস নিন ।

এরপর এর সাথে এড করে নিন বেসন এবং ভিটামিন ই। এবারও সবগুলো উপাদানকে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে স্মুথ পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে ।

সবগুলো উপাদান খুব ভালো করে মিশে যাবার পর এটিকে ত্বকের মধ্যে এপ্লাই করে নিন । এপ্লাই করার জন্য আপনারা ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি না থাকে তাহলে হাতের সাহায্যে এপ্লাই করে নিতে পারেন । তবে হাতের সাহায্যে যদি আপনারা এপ্লাই করেন তাহলে হাত ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে

এটি এপ্লাই করার পর ত্বকের মধ্যে পুরোপুরি শুকিয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করুন ।
যখন প্যাকটি পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে তখন পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে ।
মুখ ধুয়ে নেবার পর আপনারা আপনাদের ব্যবহারের ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করে নিন।

নোটঃ

১। আলু ব্ল্যান্ড করার সাথে সাথে আপনারা প্যাকটি তৈরি করে নিবেন তা নাহলে আলুর রস কালো হয়ে যাবে। যেটি পরবর্তীতে ব্যবহার করলে খুব ভাল ফলাফল পাবেন না ।

২। ফ্রিজে রাখলে এই ফেসপ্যাকটি গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে । তাই ফ্রিজে রেখে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন না।

৩। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ভিটামিন ই এর পরিবর্তে লেবুর রস ব্যবহার করবেন।

৪। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম না থাকলে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারবেন ।

ফেসপ্যাকটি যেভাবে কাজ করবেঃ

বেসনঃ

আমাদের ত্বকের মধ্যে সারা দিনে জমে থাকা ধুলো ময়লাকে ত্বক হতে দূর করে ত্বককে খুব দ্রুত মসৃণ ও ফর্সা করে তুলার জন্য বেসন ও চালের গুড়ার ত্বকের মধ্যে অসাধারণ কাজ করে থাকে। বেসনের মধ্যের consistable element ও Natural skin lightening property আমাদের ত্বক থেকে Fine line, wrinkles, pimples, age spot কে সরিয়ে ফেলে ত্বকের টোন সমান করে স্কিন কালার ব্ল্যালেন্স করে স্কিন এ অন্যরকম একটি উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে। যা ত্বকের মধ্যে অসাধারণ উজ্জ্বলতা নিয়ে আসবে।

আলুঃ

ত্বকের দাগছোপকে দূর করার জন্য আলু সবচেয়ে বেশি উপকারি ।কেননা আলুর মধ্যে থাকে প্রাকৃতিক ব্লিচিং প্রোপার্টিচ যা আমাদের ত্বক হতে দাগ ছোপকে ধীরে ধীরে হালকা করতে সাহায্য করে।

দাগ ছোপকে দ্রুত দূর করার জন্য যদি আলুর সাথে আরো কয়েকটি জিনিস মিশিয়ে ব্যবহার করা যায় তবে এর রেজাল্ট খুব ইফেক্টিভ হয়।তাই আজকে আমি আলুর সাহায্যে এমন একটি রেমেড়ি বানিয়ে দেখাব যা আপনার মুখের সমস্ত দাগ ছোপকে দূর করার জন্য ম্যাজিকের মত কাজ করবে।

ভিটামিন ইঃ

এটি ত্বকের ডার্ক সার্কেলস্‌কে remove করে দিয়ে ত্বককে ফর্সা করে তুলবে
ভিটামিন ই ত্বক হতে মৃতকোষ দূর করে ত্বককে নরম করে তোলে। এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে অনেক ভালো কাজ করে।
ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা করতে বেসনের ফেসপ্যাক.

আমাদের মধ্যে নানা কারণে ত্বকের দাগ সৃষ্টি হয় তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো ব্রণ, ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া ও ত্বকের যত্ন নেওয়া । যে কারণে আমাদের ত্বকের মধ্যে দাগ হোক না কেন আমরা সবাই চাই আমাদের ত্বককে সুন্দর দাগহীন নিখুঁত রাখতে।
আপনারা যারা নিজেদের ত্বককে দাগেন সুন্দর এবং নিখুঁত রাখতে চান তাদের জন্য আজকে আমার এই পোষ্ট টি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বেসনের ফেসপ্যাক। এ ফেইস প্যাক গুলো ত্বকের দাগ দূর করে দিয়ে ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করবে।

চলুন ত্বকের দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা করতে বেসনের ফেসপ্যাক গুলোকে কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে তার সঠিক নিয়ম গুলো জেনে নিই।

টমেটো , মধু এবং বেসনের ফেইসপ্যাকঃ

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

টমেটোর পেস্ট তিন চামচ
মধু ২ চামচ
এবং দুই চামচ বেসন

তৈরি ও ব্যবহারের সঠিক নিয়মঃ

সবার প্রথমে একটি মাঝারি সাইজের টমেটো নিয়ে এর এটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। যাদের কাছে ব্লান্ডার নেই তারা ভেজিটেবল গ্রান্ডার দিয়েও গ্র্যান্ড করে টমেটো পেস্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।

টমেটো পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে একটি পরিষ্কার বাটির মধ্যে উপাদান ৩টি কে একসাথে নিয়ে নিন।

উপাদান তিনটি একসাথে নেবার পর এদেরকে খুব ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে

সবগুলো উপাদান খুব ভালো করে মিশে যাবার পর এটিকে ত্বকের মধ্যে এপ্লাই করে নিন । এপ্লাই করার জন্য আপনারা ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি না থাকে তাহলে হাতের সাহায্যে এপ্লাই করে নিতে পারেন । তবে হাতের সাহায্যে যদি আপনারা এপ্লাই করেন তাহলে হাত ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে

এটি এপ্লাই করার পর ত্বকের মধ্যে পুরোপুরি শুকিয়ে যাবার জন্য অপেক্ষা করুন ।

যখন প্যাকটি পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে তখন পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে ।

মুখ ধুয়ে নেবার পর আপনারা আপনাদের ব্যবহারের ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করে নিন।

নোটঃ

১। ফ্রিজে রাখলে এই ফেসপ্যাকটি গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাবে । তাই ফ্রিজে রেখে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন না।

২। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তারা মধুর পরিবর্তে লেবুর রস ব্যবহার করবেন।

৩। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করার পর আপনারা খুব গরমে স্থানে যাবেন না যেমন চুল বা কড়া রোদ।
ফেসপ্যাকটি যেভাবে কাজ করবেঃ

বেসনঃ

বেসনের মধ্যের consistable element গুলো স্কিন টোন সমান করে স্কিন কালার ব্ল্যালেন্স করে স্কিন এ অন্যরকম একটি গ্লোয়ি নিয়ে আসে।

টমেটোঃ

টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোফিন স্কিনকে UV রে হতে Protect করে ।ভিটামিন ই স্কিনে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে স্কিন অয়েল control করে স্কিনকে টানটান করে তুলে। টমেটোর মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যায় যা ফ্রি রেডিকেলসের বিরোদ্ধে ফাইট করে স্কিনে বয়সের ছাপ আসতে দেয় না, যার কারণে স্কিন সবসময় তরুণ থাকে ।

মধুঃ

এই রেমেড়িতে মধু থাকায় মধুর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ও অন্যান্য জীবাণুর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আর মধুর প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং প্রোপার্টি যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে ত্বককে তুলতুলে নরম ও মুলায়েম রাখে।

বন্ধুরা আমি আপনাদের সাথে ত্বকের দাগ দূর করার জন্য বেসনের ফেসপ্যাক শেয়ার করলাম আপনারা আপনাদের কাছে থাকা উপাদানগুলোর সমন্বয়ে যে কোন একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন ।

এটি ব্যবহার করে কেমন ফলাফল পেয়েছেন তা আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন ।

Leave a Comment