জিরাতে মিলবে ১০ উপকার! জিরার উপকারিতা

বন্ধুরা,আজকে আপনাদের সাথে চমৎকারএকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যার উপকারিতা বা কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা খুব কম জানি। আমাদের চারপাশে এমন অনেক কিছুই আছে যেটা আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী, কিন্তু সে সম্পর্কে না জানার কারণে আমরা এই উপকারিতা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত হয়ে আসতেছি।

হ্যাঁ বন্ধুরা, আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি জিরার উপকারিতা নিয়ে। জিরা এমন একটা উপাদান যা ভালো বা সুস্বাদু কোন কিছু রান্না করতে গেলেই যার ব্যবহার না করলেই নয়।

কিন্তু এই রান্নার কাজ ছাড়াও জিরা আমাদের শরীরে যে বিভিন্ন কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে থাকে সে সম্পর্কে আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে জিরার উপকারিতাঃ

জিরা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায় তার সুঘ্রানের  জন্য। কিন্তু এর পাশাপাশি জিরার মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান আমাদের শরীরে আসা বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের কে দূরে রাখার জন্য কাজ করে থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে জিরার উপকারিতাঃ

আমাদের শরীর সবসময় একই রকম ভাবে আমাদের কে সাপোর্ট দিতে পারেনা। শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপাদানের তারতম্যের কারণে এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। যখন শরীরে ইলেকট্রোলাইট বা পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যায়, তখন আমাদের রক্তচাপ বেড়ে যায়। যদি আমরা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস জিরাপানি পান করে ফেলি তাহলে সারাদিন আমাদের শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে জিরার উপকারিতাঃ

জিরার মধ্যে শুধু পটাশিয়াম এবং ইলেক্ট্রোলাইট নয় এর সাথে সাথে জিরার মধ্যে রয়েছে সামান্য পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং আয়রন। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক ভাবে কাজ করে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এক গ্লাস করে জিরার পানি যোগ করতে পারেন তাহলে আপনি সারাটা দিন খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।

শরীরের অলসতা এবং ক্লান্তি ভাব দূর করতে জিরার উপকারিতাঃ

অনেকক্ষণ কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে গেছেন……???? ইনস্ট্যান্ট মনকে রিফ্রেশ করার জন্য আপনার এক গ্লাস জিরা পানি যথেষ্ট। এ কারণে শরীরের অলসতা ও ক্লান্তি ভাব দূর করতে জিরা পানির কোনো বিকল্প নেই। কারণ জিরার মধ্যে তাকা এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান আমাদের শরীরকে তাৎক্ষণিকভাবে রিফ্রেশ করতে কাজ করে।

শরীর থেকে টক্সিন বের করতে জিরা পানির উপকারিতাঃ

আমাদের শরীরে থাকা টক্সিন গুলা আমাদের অনেক ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু যদি আপনি নিয়মিত খাবারের তালিকায় জিরাপানি রাখেন তাহলে জিরার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান,  ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, এসব কিছু আমাদের শরীরের সাথে মিশে গিয়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করে ফেলতে কাজ করে। ফলে আমাদের শরীর অনেক ফিট রাখতে সাহায্য করে।

হজমক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে জিরার উপকারিতাঃ

জিরার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যেটি আমাদের হজম ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে দ্রুত কাজ করে। যার ফলে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দিয়ে খাদ্য পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয়না এবং শরীর সুন্দর ও স্লিম রাখতে সহযোগিতা করে।

ত্বকের যত্নে জিরার উপকারিতাঃ

জিরার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, থাকার কারণে এটি আমাদের শরীরে ভিটামিনের পর্যাপ্ততা পূরণ করে। যার ফলে ত্বকের মধ্যে থাকা সেলগুলা সক্রিয় রাখে ত্বককে টানটান রাখতে ভালো ভূমিকা রাখে।

জিরা চায়ের উপকারিতাঃ 

অনিদ্রা দূর করার জন্য পাশাপাশি শরীরে এনার্জি ফিরিয়ে আনতে বর্তমানে জিরা দিন দিন সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিরা একসাথে যেরকম আমাদের ক্লান্তি দূর করে অন্যদিকে শরীরকে চাঙ্গা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সতর্কতাঃ প্রতিটি জিনিসই একটি নিয়ন্ত্রিত মাত্রা আছে। এটা যদি অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাওয়া হয় তাহলে কিছু খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। জিরার ক্ষেত্রেও ঠিক সেরকম। অতিরিক্ত জিরা খাওয়ার কারণে পাতলা পায়খানা হতে পারে।

তাই সঠিক পরিমাণে জিরা খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরকে ঠিক রাখার জন্য চেষ্টা করব। পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের কেউ জিরার উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো।

 

Leave a Comment