গ্রিন টি এর উপকারিতা : গ্রিন টি খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায় জানেন?

Green Tea- এর উৎপত্তিস্থল চীন । মূলত এটি চীনের একটি ঐতিহ্যবাহী পানীয়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের লক্ষ্যে মানুষ গ্রীন টি পান করে থাকে। পানীয় হিসেবে এর বিশেষ গুনাগুনের জন্য পরবর্তীতে এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পানীয়।

গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।ওয়েটলস ড্রিঙ্কের কথা বলতে গেলে গ্রিন টির নামটি শীর্ষে আসে। গ্রিন টি ওজন হ্রাস, রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ এবং হজমে উন্নতি করে। গ্রিন টি পান করলে কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। এর উপকারের তালিকা খুবই দীর্ঘ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে দিনে এক থেকে দু কাপ গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যকর।গ্রিন টি হল পৃথিবীর প্রাচীনতম ভেষজ চা, যা জনপ্রিয়তা পেয়েছে চীনে আবিষ্কারের প্রায় ৪০০০ বছরেরও বেশি সময় পরে।

এটি বাজারে স্বল্পতম প্রক্রিয়াজাতকরণ চা, নিয়মিত খাওয়া হলে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য ভালো থাকে। গ্রিন টি মূলত চীনা ও ভারতীয় ঔষধ হিসেবে যেকোনও অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

গ্রিন টি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ক্যাফিন এবং পুষ্টি সমন্বিত যা আপনার সত্যিকারের সুস্বাস্থ্য এনে দিতে পারে ।এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ,উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্রণে সাহায্য করে ,ওজন কমাতে সাহায্য করে ,ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ,মস্তিস্ককে উদ্দীপ্ত করে। এছাড়া ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষার্থে গ্রিন টির জুড়ি মেলা ভার। গ্রিন টি বার্ধক্য এবং কপালের বলিরেখা থেকে ত্বককে রক্ষা করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ করে।

গ্রিন টি খাওয়ার উপকারিতা

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

গ্রিন টি শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টরেল কমিয়ে আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে ও হার্টকে স্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে,গ্রিন টি শরীরের প্রতিটি শিরায় কাজ করে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।তাছাড়া গ্রিন টি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

টোনার হিসেবে গ্রিন টি

গ্রিন টি টোনার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। এটি তৈরির জন্য ১ কাপ পানিতে ৫ চা চামচ গ্রিন টি, ১ চা চমচ পুদিনা পাতা ১০ মিনিট ফুটান।তারপর ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে একটি স্প্রের বোতলে সংরক্ষণ করুন। এই টোনারটি দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের চুলকানি ও প্রদাহ দূর করতে খুব উপকারী।

বাধ্যক্য প্রতিরোধ করে এবং আয়ু বাড়ায়

গ্রিন টি ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে, যা প্রাকৃতিকভাবে আপনার আয়ু বৃদ্ধি করে।গ্রিন টিতে এমন অনেকগুলি স্বাস্থ্যকর সুবিধা প্রমাণিত হয়েছে যে পরিসংখ্যানগুলি মৃত্যুর হারকে প্রায় ৭০% হ্রাস করে।গ্রীন টিতে রয়েছে এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট যা বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে এবং আয়ু বাড়ায়।

ওজন কমাতে

বর্তমানে গ্রিন টি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এর ওজন কমানোর গুণের কারণে। গ্রিন টি হজম প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টির পলিফেনল শরীরের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকর করে। খাবার থেকে ক্যালোরি তৈরী প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে।

এছাড়া গ্রিন টিতে উপস্থিত ক্যাটেচিন পেটের মেদ ঝরাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে , এটি একদিনে ৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে। তার মানে নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে বছরে ৭ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।

ডার্ক সার্কেল দূর করতে

চোখের ফোলা ভাব এবং চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল কমাতে ব্যবহার করা গ্রিন টির দুটি ব্যাগ ২ ঘন্টা ফ্রিজ এ রেখে, ঠান্ডা করে চোখ বন্ধ করে এর উপর ১০ মিনিট রাখলে উপকার পাবেন।
স্কাব হিসেবে গ্রিন টি

ড্রাই গ্রিন টির পাতা মধুর সাথে মিক্স করে স্কাব হিসেবে ব্যবহার করা যায় যা লোমকুপের ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে।

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রিন টি

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রিন টি ডিওডোরেন্ট হিসেবে কাজ করে। গোসলের পর ঠান্ডা গ্রিন টি আন্ডারআর্ম এ লাগালে দুর্গন্ধ দূর হয়। ঠিক এমনিভাবে পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক হিসেবে গ্রিন টি
অর্ধেক কলা, ১ চা চামচ গ্রিন টি, ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ টক দই ভালো মতো মিশিয়ে মুখে লাগান এবং শুকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক হিসেবে খুব ভালো কাজ করে।

মশা মাছির উপদ্রব কমাতে

মশা মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচতে শুকনো চা পাতা ঘরের কোনায় রেখে পোড়ালে মশা মাছি কমবে।

ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে

ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রিন টি এর শুকনো পাতা একটি পাতলা কাপড়ে বেঁধে ফ্রিজের এক কোনায় রেখে দিন।

ব্রণের সমস্যায়

মেডিকেল গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গ্রিন টি ব্রণের সমস্যার ট্রিটমেন্টের জন্য খুবই উপকারি। এটি ত্বকে কোন রকম ইরিটেশন বা ড্রাইনেস তৈরী করা ছাড়াই ব্রণনির্মূল করে।

মাউথ ওয়াশ হিসেবে গ্রিন টি

মাউথওয়াশ হিসেবে গ্রিন টি খুব ভালো কাজ করে। এতে আছে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল প্রপার্টিস ফলে এতে কোনো এলকোহল নেই যা রেগুলার মাউথওয়াশে থাকে।

গাছের সার হিসেবে

সবুজ চা পাতা পানিতে কয়েকদিন ভিজিয়ে রেখে গাছের গোড়ায় সেই পানি দিলে তা গাছের সার হিসেবে কাজ করে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়

নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এসব ত্বকের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে ত্বককে সুস্থ রাখে।

এ জাতীয় শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে যা ত্বকের কোষের ক্ষতি হ্রাস করে, যার ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং সামগ্রিক উপস্থিতি উন্নত করে।গ্রিন টিতে ত্বকের ইউভি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব হ্রাস করার জন্য অনন্য ক্ষমতাও রয়েছে ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

গ্রিন টি গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে , যা প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রিন টি।তাই এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী।

গ্রিন টি আপনাকে খুশি করে

গ্রিন টিতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি মস্তিস্কে ‘হ্যাপি হরমোনগুলি’ প্রকাশের জন্য পরিচিত, যা উদ্বেগ হওয়া বা নার্ভাস হওয়া রোধ করে।
এতে অবস্থিত ক্যাফিন ডোজ ক্লান্তি দূর করে,যা আপনার মেজাজকে উন্নত করতে সহায়তা করে।

দাঁত ভালো রাখে

দাঁত ভালো রাখতে গ্রীন টি নিয়মিত পান করা উচিত। কারণ এতে ‘ ক্যাটেকাইন ‘ নামক একপ্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মুখের ভিতরের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে।ফলে গলায় সংক্রমণ সহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি ওরাল ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে ডেন্টাল ক্যাভেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুখের

দুর্গন্ধ দূর করতে গ্রিন টি কার্যকরী ।

গ্রিন টি অ‌্যালার্জির সাথে লড়াই করে

গ্রিন টিতে একটি শক্তিশালী যৌগ থাকে যা অ্যান্টি-অ্যালার্জেনিক হিসাবে প্রমাণিত, যা অ্যালার্জি উপশম করতে পারে।
অধিকন্তু, গ্রিন টিতে উপস্থিত পলিফেনল অ্যালার্জির সাথে সম্পর্কিত অনেক লক্ষণ এবং অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়।
গ্রিন টি আপনাকে স্মার্ট করে তোলে
গ্রিন টিতে দুটি সিএনরজিস্টিক উপাদান রয়েছে: ক্যাফিন এবং এল-থিনাইন,যা সামগ্রিক মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে কাজ করে।

এতে আপনার মস্তিষ্কের নিউরনগুলিকে কম্পিত করে ফেলার জন্য সঠিক পরিমাণে ক্যাফিন রয়েছে যা আপনার উদ্বেগের কারণ না ঘটায়,মস্তিষ্কের রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলিকে মুক্তি দেয় যা আপনার মেজাজ উন্নত করে,আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ।
এল-থিনাইনিন একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা শক্তি এবং একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-উদ্বেগ প্রভাব সরবরাহ করে। গ্রিন টি পান করে আপনি আরও স্থিতিশীল বোধ করবেন এবং স্বাভাবিকের চেয়ে স্মার্ট হয়ে উঠবেন।

অবসাদ দূর করতে

গ্রিন টি অবসাদ ও ডিপ্রেশন কমাতে সহায়তা করে। চা পাতায় থাকে ‘ থিয়ানিন ‘ নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড যা অবসাদ ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করে অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

গ্রিন টি ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত সব রকমের রোগের প্রতিরোহিসেবে কাজ করে। এটি ক্যান্সার এর ধ্বংসাত্মক সেলকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে অনেক রোগ বিস্তারেও গ্রিন টি বাধা দেয়।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে

গ্রিন টি স্মৃতি শক্তিবৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। গ্রিন টি শরীরের বিভিন্ন অংশকে ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে এবং সেই সাথে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

গ্রিন টি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে এবং শরীরে ক্যান্সারকে ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়। গ্রিন টিতে উপস্থিত ‘ ইজিসিজ ‘ নামক উপাদানটি ক্যান্সার সেল কে ধ্বংস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট আর মিনারেলস যা শরীরকে সতেজ রাখে।

গ্রিন টি কখন পান করা উচিত?

সকালে মেটাবলিজমের মাত্রা বেশি থাকে আবার সন্ধ্যায় মেটাবলিজমের মাত্রা কমতে থাকে। তাই সকালের নাস্তার পরে আর সন্ধ্যায় এই পানীয়টি পান করা উচিত। তবে খেয়াল রাখতে হবে খাবার খাওয়ার ১ বা ২ ঘন্টা পরে গ্রীন টি পান করতে হবে।ব্যায়াম করার ১/২ ঘন্টা আগে গ্রিন টি পান করতে পারেন।

গ্রিন টি খাওয়া কি বিপদজনক?

গ্রিন টি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় হলেও সবার জন্য স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারেন
যারা গ্রিন টি খাবেন না-
১) গর্ভবতী নারী
২) ইনসোমনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি
৩) রক্তস্বল্পতায় ভোগা রোগী
পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, গ্রিন টি তে প্রচুর অ‌্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ হওয়া সত্বেও তা ৩ কাপের বেশি খাওয়া উচিত নয়। এর চেয়ে বেশি গ্রিন টি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে।
গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও উপযুক্ত সময়

গ্রিন টি স্বাস্থ্যের পক্ষে যেমন উপকারী তেমন গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম না জানলে এর থেকে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে ।

১. খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা পর গ্রিন টি পান করা উচিত। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।

২. রাতে ঘুমোতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে গ্রিন টি খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৩. ব্যায়াম করার আধা ঘন্টা আগে গ্রিন টি পান করলে শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি হয় এবং কার্যক্ষমতাও বাড়ে। ফলে ওজন ও মেদ কমাতে সাহায্য করে।

সকালে খালি পেটে গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।
খাওয়ার পরপরই গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।
ঘুমের সমস্যা এড়িয়ে যেতে গভীর রাতে গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।
গ্রিন টি বেশি পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। দিনে দুই থেকে তিন কাপের বেশি পান করা উচিত নয় ।
লাঞ্চের পর কি গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে?

এক্ষেত্রেও উত্তর হল “না”। কারণ খাওয়ার পর পর গ্রিন টি খেলে খাবারে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদান ঠিক মতো শোষিত হতে পারে না। ফলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। সেই সঙ্গে একাধিক রোগও শরীররে বাসা বাঁধে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ভারি খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টার মধ্য়ে যদি গ্রিন টি শরীরে প্রবেশ করে তাহলে হজমে সহায়ক অ্যাসিডেরা ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজম হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন থাকাটা একান্ত প্রয়োজন।

রাত্রে গ্রিন টি খেলে কি উপকার পাওয়া যায়?

রাত্রে গ্রিন টি পান করলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, যে কারণে ঠিক মতো ঘুম আসতে চায় না। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেল বাড়তে থাকে, ফলে শারীরিক অস্বস্তি হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই তো ঘুমতে যাওয়ার আগে গ্রিন টি পান করা উচিত নয়।

পাতার পরিবর্তে টি ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে?

সাধারণত যে যে উপাদানগুলি ব্যবহার করে টি ব্যাগ তৈরি করা হয়, সেগুলি শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। তাই তো টি ব্যাগের পরিবর্তে চায়ের পাতা ব্যবহার করাই বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্রিন টি-এর পাতা ব্যবহার করে বানানো চা অনেক বেশি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধি হয়, টি ব্যাগ দিয়ে বানানো চায়ের তুলনায়। তাই সিদ্ধান্ত আপনার, পাতা ব্যবহার করবেন, না টি ব্যাগ!

গ্রিন টি খেলে নাকি প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায়?

এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে গ্রিন টি খাওয়ার পর প্রস্রাবের হার স্বাভাবিকের থেকে বাড়তে শুরু করে। সেই কারণেই তো এই পানীয়টি খাওয়ার পর বেশি করে জল খাওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ এমনটা না করলে দেহে জলের ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

Leave a Comment