কাঁচা মরিচের উপকারিতা : কাঁচা মরিচ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মরিচ বর তার সাথে পরিচিত নয় এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। পান্তা ভাতের সাথে মাছ ভাজি সাথে আরেকটু মরিচ ভর্তা হলে তাহলে তো কথাই নেই, খাবারের স্বাদ বেড়ে যায় তিন-চারগুণ।

মরিচ ভর্তা প্রধান এবং প্রথম উপ কারণ হচ্ছে মরিচ । মরিচ ভর্তা করতে দুই ধরনের মরিচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

একটা হচ্ছে শুকনো মরিচ

আরেকটি হচ্ছে কাঁচা মরিচ

মরিচের ভর্তা ছাড়াও খাবারের স্বাদ বাড়াতে পিয়াজু, ফুচকা এবং সালাদ ও চটপটির স্বাদ বাড়াতেও মরিচ ভর্তা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

মরিচ দু’ধরনের হলেও এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় কাঁচা মরিচের ব্যবহারই বেশি হয়ে থাকে।

সাধারণত যে কাজেই কাঁচামরিচ ব্যবহার করে থাকিনা কেন স্বাস্থ্যগতভাবে এর কি কি গুনাগুন রয়েছে, বা কাঁচা মরিচ শরীরের জন্য কতটুকু সঠিক ভাবে উপকারী সেটা আমরা অনেকেই জানি না।

না জেনে আমরা মরিচ খেয়ে থাকলেও আসলে আমাদের উচিত এর উপকারিতা বা গুনাগুন বিচার করা । কতটুকু পরিমাণে মরিচ খেলে আমাদের শরীরের জন্য উপকার হবে বা হতে পারে সেটা আমাদের অবশ্যই জামাটা জরুরি।

তাই আজ আমরা কাঁচা মরিচের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি……

কাঁচা মরিচের উপকারিতা সমূহঃ

শরীরে ভিটামিনের যোগান দিতে কাঁচা মরিচের উপকারিতাঃ

কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকার কারণে সেটা আমাদের ত্বককে খুব বেশি সুন্দর রাখে। এবং ত্বককে সতেজ রাখে। এর পাশাপাশি সর্দি-জ্বর-কাশি এ ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা কিন্তু দৈনিক একটি হলেও কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। কারণ কাঁচা মরিচ খাওয়ার মাধ্যমে এ ধরনের সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যায়।

শরীর থেকে অতিরিক্ত মেটাবলিজম দূর করতে কাঁচা মরিচের উপকারিতাঃ

কাঁচা মরিচ নিয়মিত খাওয়ার মধ্য দিয়ে শরীর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ মেটাবলিজম দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক বেশি অর্থাৎ ব্লাড সার্কুলেশনে সমস্যা হয়, মূল কথা বলতে গেলে হার্টের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাঁরা কিন্তু কাঁচামরিচ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। কারণ কাঁচামরিচ দিয়ে ব্লাড সার্কুলেশন স্বাভাবিক রেখে হার্টকে সুস্থ ও সবল রাখা যায়।

শরীরের হাড় এবং অস্থিমজ্জা ভালো রাখতে কাঁচা মরিচের গুরুত্বঃ

শরীরের হাড় এবং অস্থিমজ্জা কে ভালো রাখতে এর পাশাপাশি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং মস্তিস্ককে উন্নত রাখতে হলে আমাদের প্রতিদিন খাদ্যাভ্যাসে কাঁচামরিচ কে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া উচিত। এটি আমাদের মুখের রুচি বৃদ্ধি করে।

দাঁতের ফিলামেন্ট ঠিক রাখতে কাঁচা মরিচের উপকারিতাঃ

আমাদের দাঁতের গঠন কে ত্বরান্বিত করতে,অথবা দাঁতের ফিলামেন্ট যাদের নষ্ট হয়ে গেছে, দাঁতের ক্ষয় রোগ ধরেছে, অথবা দাঁতের মাড়ি যাদের ফুলে যায়, তাদের কাঁচা মরিচ খাওয়া কিন্তু একেবারে বাধ্যতামূলক।

কারণ কাঁচা মরিচে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন সি থাকে। এর পাশাপাশি ভিটামিন সি এর উপাদান কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশী কার্যকরী এবং উল্লেখিত সমস্যার সমাধান করতে আরো বেশি কার্যকর।  তাই আমাদের উচিত দাঁতের সমস্যা সমাধান করতে প্রতিদিন খাদ্যাভাসে কাঁচামরিচ রাখা।

নার্ভের সমস্যা সমাধান করতে কাঁচা মরিচের ব্যবহারঃ

যাদের নার্ভের সমস্যা রয়েছে অথবা ঘুমের সমস্যা যাদের হয়, অথবা একটুখানি কাজ করে যারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তারা কিন্তু খাদ্যভ্যাসে কাঁচামরিচ নিবেন। কারণ কাঁচা মরিচ মসলা হলেও এতে অনেক ধরনের কার্যকরী উপাদান থাকে আর এই জন্য আমাদের উচিত নিয়মিতভাবে কাঁচামরিচ খাদ্য হিসাবে খাওয়া।

খাবারের মসলা হিসাবে কাঁচা মরিচের গুরুত্বঃ

খুব বেশি সম্ভব না হলে অন্ততপক্ষে দৈনিক একটি হলেও কাঁচামরিচ খাদ্য হিসাবে খাওয়ার পাশাপাশি কাঁচামরিচ কিন্তু খাবারের মসলা হিসেবে আরো বেশি উপযোগী।

গরমের সময়ে বা গ্রীষ্মকালীন সময়ে পেটের সমস্যা হওয়ার কারণে কাঁচামরিচ আমরা অনেকে খেতে পছন্দ করি না।কিন্তু শীত কালীন সময়ে আমরা কাঁচা মরিচ ছাড়া কোন সবজীর কথা ভাবতেই পারিনা। যে কোনো আইটেম কে বেশী মজাদার করে তুলতে কাঁচামরিচের কিন্তু কোনো জুড়ি নেই।

সতর্কতাঃ যাদের এসিডিটি,লিভারে সমস্যা, গলব্লাডার নেই তারা কাঁচা মরচ খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। 

বন্ধুরা আপনারা এত কাঁচা মরিচের উপকারীতা আর কথা জেনে গেলেন ।

উপরে কাঁচা মরিচের যে উপকার গুলোর কথা আপনাদের জানালাম এখান থেকে আমরা যতটুকু সম্ভব কাঁচামরিচের উপকারিতা নেওয়ার জন্য কাঁচা মরিচ খাদ্যভ্যাসে রাখবো এবং কাঁচা মরিচের যে গুনাগুন রয়েছে তা উপভোগ করার চেষ্টা করব।

Leave a Comment