ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে ত্বককে ফর্সা করতে কফির সেরা ফেসপ্যাক

কফি প্রেমীদের জন্য সুখবর হলো আপনারা চাইলেই কফি দিয়ে নিজেদের রূপচর্চা করতে পারেন । নিজেদের রূপচর্চাকে আরো একধাপ এগিয়ে দিবে এই কফি ।
কফির সাহায্যে নিজেদের ত্বককে ফর্সা করা যাবে, ব্রণের দাগ হলে সেটি দূর করা যাবে আর ব্রণ এবং মেস্তা যদি হয়ে থাকে সেটি দূর করা যাবে।

তাই যারা নিয়মিত কফি পান করেন আশা করা যায় তাদের বাড়িতে সব সময় কফি থাকে । সেই কফি থেকে সামান্য পরিমাণে কফি নিয়ে এর সাথে কয়েকটি উপাদান মিশিয়ে কফির ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকের যত্ন নেওয়া যাবে খুব সহজে।

অল্প সময়ের মধ্যে যারা ব্যস্ততার কারণে নিজেদের ত্বকের যত্ন নিতে পারেন না তারা চাইলেই এই কফি খাওয়ার সাথে সাথে অল্প একটু সময় দিয়ে নিজেদের ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন এই কফির ব্যবহারের মাধ্যমে।
তাহলে চলুন অল্প সময়ে কিভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকের যত্ন নেয়া যায় সেটি দেখে নিই।

১। কমলার রস ও কফির ফেইসপ্যাকঃ

ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে কমলার রস ও কফির এই ফেসপ্যাকটি অসাধারণ কাজ করবে। এটি ত্বককে ভিতর থেকে পরিস্কার করে ত্বককে দাগমুক্ত করে আপনাকে এনে দিবে আপনার চির আকাঙ্কিত সৌন্দর্য্য।

যা যা লাগবেঃ

কফি পাউডার – ১চামচ
কমলার রস – ১চামচ

ফেসপ্যাকটি যেভাবে তৈরী ও ব্যবহার করবেনঃ

১) একটি পরিস্কার বাটিতে কফি পাউডার ও কমলার রস নিয়ে খুব ভাল করে উপাদান গুলো মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।

২)ত্বক পরিস্কার করে প্যাকটি মুখে লাগান। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

৩)১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ফেসপ্যাকটি কাজ করার কারণঃ

কফিঃ

কফির মধ্যে আছে কেফেইন ও খুব powerfull অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক হতে ডেড স্কিন টিস্যু রিমুভ করে ত্বককে ফ্রেস ও ইয়াং করে তুলবে।ত্বক হতে ব্রণ , ব্রণের দাগ, রোদে পুড়া কালো দাগ ,তামাটে ভাব ও ত্বকের কালচে রংও ডেড স্কিন টিস্যু দূর করে দিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে ফর্সা করে তুলে। কফি ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার পর দিনের পর দিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।

কমলার রসঃ

কমলার রসের মধ্যে প্রাকৃতিক ব্লিচ রয়েছে যা ভিবিন্ন ধরণের ডার্ক স্পট,ব্রণের দাগ , রোদেপুড়া ও পিগমেন্টেশকে অনায়াসে দূর করে ত্বককে অতি মাত্রাই উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলার জন্য পারদর্শী। এছাড়াও কমলার রসের মধ্যে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক এসিড পাওয়া যায় যা ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে ব্রাইট ও লাইটেন করে তুলে ।

নোটঃ

১) এই ফেসপ্যাকটি সব ধরণের ত্বকের জন্য মানানসই ও উপকারী ।

২ ) খুব ভাল ফলাফল পেতে সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করতে পারবেন।

৬.হলুদ ও কফির ফেইসপ্যাকঃ

সবধরণের ত্বকের জন্য হলুদ ও কফির ফেইসপ্যাকটি সমানে উপকারিতা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এটি যে কোন ত্বকের
কালো রংকে মুছে দিয়ে ত্বককে তরুণ।উজ্জ্বল ও সুস্থ্য করে তুলে ।বিভিন্ন ত্বক সমস্যার কারণে সৃষ্ট ত্বকের জ্বালা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে এই সেইসপ্যাক।

প্রয়োজনীয় উপাদানঃ

কফি পাউডার-২ চামচ
গোলাপের পাপড়ি গুড়া – ১ চামচ
মধু – ১ চামচ
দই – ৪ চামচ

ফেসপ্যাক যেভাবে তৈরি ও ব্যবহার করবেনঃ

১) একটি পরিস্কার বাটিতে কফি পাউডার, গোলাপের পাপড়ি গুড়া, মধু ও দই নিয়ে খুব ভাল করে উপাদান গুলো মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।

২) চোখ ও ঠোঁট ছাটা সারা মুখে লাগিয়ে ১২ মিনিট অপেক্ষা করুন। যখন অপেক্ষা করবেন তখন চোখের উপর স্লাইস করা শষার টুকরো দিয়ে রাখতে পারেন ।

৩) ১২ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

ফেসপ্যাকটি কাজ করার কারণঃ

কফিঃ

কফির মধ্যে আছে কেফেইন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক হতে ডেড স্কিন টিস্যু রিমুভ করে ত্বককে ফ্রেস ও ইয়াং করে তুলবে।

গোলাপের পাপড়ি গুড়াঃ

গুলাপের পাপড়ি গুড়া আমাদের ত্বককে খুব ভালভাবে হাইড্রেড আর ময়েশ্চারাইজ করে যার ফলে আমাদের ত্বক হেলদি হয় ও রংকে ফর্সা করে

মধুঃ

এই রেমেড়িতে মধু থাকায় মধুর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ও অন্যান্য জীবাণুর হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। আর মধুর প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজিং প্রোপার্টি যা ত্বককে ভিতর থেকে ময়শ্চারাইজ করে ত্বককে তুলতুলে নরম ও মুলায়েম রাখে।

টক দইঃ

অ্যান্টি-এইজিং (Anti-aging) ক্ষমতার অধিকারী দই ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বলতা দিয়ে থাকে। দইয়ের মধ্যে আরো আছে রাইবো ফ্লেবিন যা ত্বকে নতুন কোষের বৃদ্ধি বাড়িয়ে ত্বককে সুস্থ্য ও উজ্জ্বল করে তুলে।

নোটঃ

১) সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন।

২) অপেক্ষা করার সময় শুয়ে বা হেলান দিয়ে অপেক্ষা করবেন ।

৩) এই ফেসপ্যাকটি সব ধরণের ত্বকের জন্য মানানসই ও উপকারী ।

আপনারা কফি খাওয়া শেষ করার সাথে সাথে একই সময়ের মধ্যে ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য কফির ফেসপ্যাক দুটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনারা আপনাদের হাতের কাছে উপাদানের যুগান অনুযায়ী যে কোন একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারবেন।

বন্ধুরা আপনারা এই প্যাক গুলো ব্যবহার করলে অনেক ভাল ফলাফল পাবেন আর এর ফলাফল ও কার্যকারিতা আমার সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।

Leave a Comment