আশযুক্ত যুক্ত খাবারের উপকারিতা 

বর্তমান দৈনন্দিন জীবনে যদি আপনি সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে থাকতে চান,  অথবা আপনার পরিবারকে একটা সুস্থ লাইফ-স্টাইল দিতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।  এই কারণে আজকে আপনাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। যেটা আমাদেরকে সুস্থ রাখার জন্য অনেক কার্যকরী ভাবে সহযোগিতা করবে।

বন্ধুরা, প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে আঁশযুক্ত খাবার। আজকে আপনাদের সাথে আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।

মানবদেহে আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতাঃ

অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে এবং ডায়াবেটিস, প্রেসার, হূদরোগ ও কোলন ক্যান্সারের মতো সমস্যা থেকে দূরে থাকতে বিশেষজ্ঞরা বারবার জোর দিচ্ছেন আঁশযুক্ত খাবারের দিকে। আপনি দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় যত বেশি আঁশযুক্ত খাবার যোগ করতে পারবেন তত বেশি আপনি জটিল রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের বিশেষজ্ঞ যারা আমাদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে তারা প্রতিনিয়ত প্রতিবেদন তৈরি করতেছে আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা নিয়ে। কারণ বর্তমানে মানুষ খুব বেশি পরিমাণে ফাস্টফুড এর দিকে ঝুকে যাচ্ছে, যার কারণে অকাল মৃত্যুর পাশাপাশি হূদযন্ত্রের সমস্যা, অল্প বয়সে স্ট্রোক করার প্রবণতা কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যান্সার বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে।

মার্কিন গবেষকরা বলেন, যদি নিয়মিত খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার রাখতে পারেন, তাহলে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা কমবে ২৫-৩০ শতাংশ।

শরীর থেকে রোগ দূর করতে এবং শরীরের আয়ু বাড়াতে আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতাঃ

যদি আপনারা শরীর থেকে রোগ দূর করতে চান বা শরীরের পেশী সমূহ কে শক্ত রাখতে চান, তাহলে আপনার দৈনন্দিন খাবারের সাথে অবশ্যই প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করতেই হবে।

এবং আপনি যদি খাবারের তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার রাখতে পারেন তাহলে আপনার গড় আয়ু বৃদ্ধি পাবে।

পরিপাক ক্রিয়া সচল রাখতে আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতাঃ

আমাদের পাকস্থলীতে খাবার ভালোভাবে হজম না হওয়ার কারণে এবং আঁশযুক্ত খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে না খাওয়ার কারণে অনেক সময় খাবার হজম ক্রিয়ার ভালোভাবে হয় না। যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং এর থেকে আমাদের কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

কিন্তু আপনি যদি আঁশ জাতীয় খাবার খান এবং এই আঁশ জাতীয় খাবার বেশি চিবোতে হয় বলে এটা খুব সহজে পরিপাক হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য ও কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে থাকা যায়।

সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতাঃ

রক্তের মধ্যে যখন সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন ইনসুলিন দ্রুত উৎপাদিত হয় সুগারের মাত্রা ভাংতে পারেনা। কিন্তু যদি আপনি আঁশযুক্ত খাবার খান তাহলে সেটা রক্তে মিশে গিয়ে সুগারের লেভেল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে।

যে সকল খাবারে আমরা প্রচুর পরিমাণে আঁশ পেতে পারিঃ 

যে কোন ফল আমরা জুস করে না খেয়ে যদি আমরা সেই ফলগুলো চিবিয়ে খেতে পারি তাহলে কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে আমরা ফাইবার পেতে পারি। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মটর,ছোলা, খেসারি, ডাল এগুলোতে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে।

সতর্কতাঃ

আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে প্রচুর পরিমাণে কিন্তু পানি খেতে হবে। কারণ আঁশযুক্ত খাবার প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে নেয়। তাই আঁশযুক্ত খাবার খাবার খাওয়ার পরে আমরা অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার দিকে সতর্ক থাকবো।

Leave a Comment