আলুবোখারার উপকারিতা :অনেক রোগের যম আলুবোখারা

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব আলুবোখারার উপকারিতা নিয়ে। তার আগে আলুবোখারা সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু ধারনা আপনার সাথে শেয়ার করতে চাই।

আলুবোখারা কীঃ

আলুবোখারা কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ফলমূল যেরকম উৎপাদন হয়, আলুবোখারাও সেভাবে উৎপাদন হয়ে থাকে এবং উষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলে অর্থাৎ যে সকল অঞ্চলের তাপমাত্রা বেশি ওই ধরনের অঞ্চলের উর্বর মাঠিতে বেশি উৎপাদিত হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে আলুবোখারার চাহিদাঃ

বাংলাদেশের আবহাওয়া যেহেতু নাতিশীতোষ্ণ তাই বাংলাদেশের আবহাওয়াতে এই ধরনের ফলের উৎপাদন তেমন একটা হয় না। তাই বাংলাদেশে আলুবোখারা তেমন একটা দেখা যায় না। বাজারে চাহিদা ও তেমন থাকে না।
যেহেতু আমাদের দেশে আলুবোখারার যোগান অনেক কম তারপরেও আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলুবোখরার গুনাগুন ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব………………

আলুবোখারার উপকারিতাঃ

আমাদের দেশে আলুবোখারা তেমন একটা উৎপাদন না হলেও এর উপকারিতা নিয়ে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব, এর কারণ হলো দূরত্ব আধুনিক বিশ্বে কোন ব্যাপারই নয় তাই যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তা আমরা চাইলেই নিমিষেই নিজের কাছে নিয়ে আসতে পারি।

আলুবোখারা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করেঃ

আলুবোখারা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আলুবোখারা নিয়মিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখা যায় এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে দিয়ে আলুবোখারার উপকারিতাঃ

যারা শরীর নিয়ে খুব বেশি সচেতন শরীরের বাড়তি মেদ যোগ দিতে যারা একেবারেই নারাজ, তারা তাদের খাদ্য তালিকায় অর্থাৎ ডায়েটিং চার্টে আলুবোখারা রাখতে পারেন।
আলুবোখরা আমাদের শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে দিয়ে শরীর দিয়ে শরীরকে অনেক বেশী সুন্দর এবং স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে আলুবোখারার গুরুত্বঃ

মানসিক চাপ কমিয়ে কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে এবং কোন কাজে একাগ্রতা বাড়াতে আলুবোখারা কিন্তু দারুণ কার্যকরী। এর পাশাপাশি যাদের দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ চোখে ছানি পড়া অথবা চোখে কম দেখা এই ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারাও কিন্তু খাদ্যতালিকায় আলুবোখারা রাখতে পারেন।

এতে করে উল্লেখিত সমস্যাগুলোর খুব সহজে সমাধান পাওয়া যায় এবং কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই।

ক্যান্সার রোগের প্রতিষেধক হিসাবে আলুবোখারার কাজঃ

আলুবোখারা কিন্তু ক্যান্সার রোগের প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে থাকে। স্কিন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের জীবাণু সংক্রমণ রোধ করতে আলুবোখারা খুব বেশি কার্যকরী।

টিউমার ও পাথর সমস্যা সমাধানে আলুবোখারার ভূমিকাঃ

টিউমারের সমস্যা যাদের রয়েছে তারাও কিন্তু নিয়মিতভাবে আলু বোখারা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। কারণ আলুবোখারা দেহের বাড়তি চর্বি গলিয়ে দেয় এবং তা প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। আর এই প্রস্রাবের রাস্তায় যদি কোন ধরনের পাথর হয়ে থাকে তাহলে তাও একসাথে বের হয়ে যায়। এতে করে প্রাকৃতিক উপায়ে টিউমার বা পাথরের সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব হয়।

নোটঃ

একজন সুস্থ বয়স্কের মানুষ সর্বোচ্চ দিনে ৩-৪ টা আলুবোখারা খেতে পারেন। যতটা সম্ভব কাঁচা আলুবোখারা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আলুবোখারার রস টিনজাত করার চেষ্টা করবেন না। টিনজাত করা আলুবোখারার রস শরীরের জন্য ভালো না।
তাহলে বন্ধুরা আপনারা জানতে পারলেন আলুবোখারার উপকারিতা গুলো কি কি এবং এগুলা খাওয়া আমাদের জন্য কতটুকু উচিত আপনারা সেই সম্পর্কেও ধারণা পেলেন।

Leave a Comment