আদার উপকারিতা ।। আদার সুবিধা কি?

আদা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যেটি বেশিরভাগ সময় আমাদেরও রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় । আদা মসলা হিসেবে ব্যবহার করলেও আদা পানির রয়েছে অনেক উপকারিতা।

আদা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যার সাহায্যে প্রায় সব রোগের নিরাময় ঘটে ।
তাই আদা কে অনেকে “সকল রোগ নিরাময়ের দাদা”হিসেবে দেখে থাকে। আধার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাঙ্গানিজ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ভিটামিন সি ভিটামিন অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান সহ আরো অনেক উপাদান রয়েছে ।

এই সমস্ত উপাদানগুলো আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই আমাদের শরীরে অনেক রোগ নিরাময় হয়ে থাকে।

এখনও যাদের আদা খাওয়ার অভ্যাস নেই তাদের উচিত রোগ নিরাময় করার জন্য এবং ডাক্তারের কাছে যেন আমাদের যেতে না হয় তার জন্য আদা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ।

সরাসরি আদা খাওয়া একটু ঝাঁজালো স্বাদের হলেও এর উপকারিতা পাবার জন্য এরশাদ না আসার জন্য তাকে বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে।

আপনাদের যাদের এখনও আদা খাওয়ার অভ্যাস হয়নি আমি নিচে আপনাদের ।সাথে আদার যে উপকারিতা গুলো শেয়ার করবো সেই উপকারিতা গুলো জানার পর আপনারা নিশ্চয়ই আপনাদের খাদ্যতালিকা থেকে আদাকে বাদ দিতে পারবেন না ।

চলুন জেনে নিই আদার উপকারিতা গুলো কি কি?

১। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিঃ

আদার যে উপকারিতার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটি হল আদা মসলা হিসেবে ব্যবহার হয় । এ কারণে যে আদা রান্নায় তরকারিতে অর্থাৎ খাবারে স্বাদ বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তাই এর উপকারিতা কথা মাথায় রেখে মাথায় না থাকলেও অনেকেই খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য আদা ব্যবহার করেন।

২।হজম শক্তি বাড়ায়ঃ

অনেকেই নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভুগে অর্থাৎ কোন খাবার গ্রহণ করলে সেই খাবার ভালো মত হজম না হওয়ার ফলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা জনিত রোগে ভুগে।

কিন্তু নিয়মিত আদা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।
আবার যখন পেটের সমস্যা দেখা দেয় ঠিক তখনই তিনচামচ আদার রস খাওয়া যায় তাহলে পেটের সময় তৎক্ষণাৎ দূর হয়ে যায় ।

৩। গলার স্বর ভালো রাখেঃ

এটি ফুসফুস ভালো রাখার সাথে সাথে আমাদের গলা এবং গলার স্বর কে ভালো রাখে । ঠান্ডা লেগে যদি কারো গলা ভেঙে যায় অর্থাৎ গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যায় তখন যদি আদার রস খাওয়া যায় তাহলে গলার স্বর ঠিক হয়ে যায়।

এছাড়াও গলার স্বর ভালো রাখতে আদার চাই এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যারা কণ্ঠশিল্পী অথবা সংবাদ উপস্থাপন করে থাকেন এমন ব্যক্তিরা তাদের বলা কি ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত আদা চা খান ।

৪। বমি বমি ভাব দূর করেঃ

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা যানবাহনের চড়ার সময় বমি প্রবণতা থাকে। এর সময় আজ গুরুত্ব কাজ করে। যান চড়ার সময় কারো যদি বমি ভাব পাই তাহলে সেই সময় যদি কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া যায় তাহলে এই বমি হওয়া দূর হবে বা বমি বমি ভাব দূর হবে এতে করে মুখের স্বাদ বাড়বে আর যানবাহনে অস্বস্তিকর একটি পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা পাবে ।
আবার বদহজমের কারণেও যাবে বমি হয় তারাও এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন ।

৫। রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখেঃ

আদার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ,জিংক ও ক্রোমিয়াম । আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালনের জন্য এই উপাদানগুলো খুব দরকার । আদার মধ্যে এই উপাদানগুলো থাকায় এগুলো আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে।

৬। হার্ট ভালো রাখেঃ

শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকলে আমাদের হার্ট ভালো থাকে। তাই বলা যায় আদা হার্ট ভালো রাখার জন্য অসাধারণ একটি প্রাকৃতিক উপাদান।

৭। ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ

ক্যান্সারের কথা বললেই কপালে ভাঁজ পড়ে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর কারণ এটি একটি মরণ ব্যাধি সমস্যা। তাই আমাদের উচিত কেন যাতে আমাদের শরীর বাস বাধ না না পারে সে যত্নবান হওয়া এবং সচেতন থাকা।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করা আদা অত্যন্ত অত্যান্ত কাজ একটি প্রবাদ উপাদান। ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য এক চামচ আদার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন যদি খাওয়া যায় তাহলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হবে।

মধু এবং আনারস একসাথে খেলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে মধু এবং আদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীর হতে টক্সিন নামক ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দেয়। যার কারণে আমাদের শরীরে ক্যান্সারের সেল জন্ম নেওয়ার ঝুঁকি কমে যায় ।

৮। ফুসফুস ভালো রাখেনঃ

ফুসফুসে সংক্রমণের ফলে সাধারণত যে সকল রোগ হয়ে থাকে আদা সেই সকল রোগের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে ফুসফুসকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।। যেমন ফুসফুস সংক্রমণ জনিত রোগ হলো সর্দি – কাশি , শ্বাস- প্রশ্বাসের সমস্যা ইত্যাদি। এ সকল রোগ হতে আদা আমাদেরকে অনেক বেশি দূরে রাখে

অর্থাৎ নিয়মিত আদা খেলে আমাদের সর্দি কাশি হবে না এবং শ্বাস প্রশ্বাস এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে তাই ফুসফুস ভালো রাখার জন্য নিয়মিত আদা খাওয়া জরুরি। .

৯। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

আমাদের শরীরে যত বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে আমরা রোগে আক্রান্ত হব এবং আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে। আমরা সুস্থ সুন্দর জীবন তাই আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা অনেক বেশি জরুরী । আদা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

১০। পিরিয়ড এর ব্যথা কমায়ঃ

প্রতি মাসে পিরিয়ডের ব্যথায় ভোগেন না এমন নারী খুব কম পাওয়া যাবে । এটি একটি কমন সমস্যা হলেও নারীদের জন্য এটি অনেক যন্ত্রণাদায়ক । অনেক সময় এই ব্যাপার তীব্রতা এত বৃদ্ধি পায় যা আমাদের সহ্যের বাইরে চলে যায়।

যে সময় পিরিয়ডের ব্যাথা অল্প পরিমাণে শুরু হয় সেই সময়ের যদি এক চামচ মধুর সাথে এক চামচ আদার রস মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে তা অনেকটা কমে যায় এবং ব্যাথা আর বৃদ্ধি পায় না।

১১। মাথা ব্যাথা কমাতে আদাঃ

অনেকের কাজের চাপে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হয় আবার অনেকের মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে। যে মাথা ব্যাথা হোক না কেন আদা মাথাব্যথা কমাতে অসাধারণ কাজ করে। যখনই মাথা ব্যাথা হবে তখনই কুসুম গরম জলে দুই চামচ আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা চায়ের সাথে আদার রস মিশিয়ে খেলে মাথাব্যথা কমে যাবে ।

আর মাথা ব্যাথার তীব্রতা বৃদ্ধি পায় যার কারণে জল গরম করার সময় হাতের না তাকে বাতিল না করে তাহলে মধুর সাথে আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন এভাবে খেলে মাথাব্যথা কমে যাবে ।

১২। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়ঃ

আমাদের শরীরে রক্ত চলাচল অর্থাৎ রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হলে রক্ত জমাট বেধে গেলে আমাদের একটু খবর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর এ ব্যাপারে আমাদের সবার সচেতন থাকা দরকার। নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস আমাদের স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে আনে ।কারণ আদা আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে তাই আমাদের স্ট্রোক হবার আশঙ্কা দূর হয়ে যায়।

১৩। দাঁতের মাড়ি ফোলা দূর করেঃ

আমাদের অনেকের দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এটি অনেক বেশি ব্যথা দেয় কারো যদি এই রকম দাঁতের মাড়ি ফোলা ভাব দূর করতে আদা কার্যকরী।

ব্যবহারঃ

তাহলে কুসুম গরম জলের মধ্যে কয়েক চামচ আদা রস মিশিয়ে নেবেন এরপর এটি দিয়ে কুলকুচি করবেন এই গ্রুপ থেকে 10 মিনিট পর্যন্ত যেন দীর্ঘ স্থায়ি হয় অর্থাৎ আপনারা মুখে গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করে করে ফেলে দিবেন আবার একটু গরম পানি দেবেন এভাবেই যাতে গরম পানিতে মুখের মধ্যে 5 থেকে 10 মিনিট পর্যন্ত থাকে।

আদার রসের সাহায্যে এইভাবে কুলকুচি করার পর মাড়ি ফোলা ভাব দূর হয়ে যাবে আর এটি আপনারা ভাল ফলাফল পাবার জন্য পরপর তিনদিন ব্যবহার করবেন।

১৪। রক্তপাত বন্ধ করেঃ

বাড়ির মধ্যে হঠাৎ করে কেউ যদি কেটে জান আর হাতের কাছে ফার্স্ট এইড বক্স না থাকে তাহলে প্রাকৃতিক ফাস্ট এই হিসেবে আদার গ্রুপ ব্যবহার করতে পারেন আদা রক্তপাত বন্ধ করার জন্য কার্যকর।
কোন জায়গায় করে কেটে গেলে সেই স্থানে যদি আদার গুড়া লাগিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সেই কাটা স্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে এবং কাটা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে উঠবে।

১৫। ওজন কমিয়ে আনবেঃ

আদার অনেকগুলো উপকারিতার মধ্যে আদার কার্যকরী একটি উপকারী তা হল আদা ওজন কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। যাদের দ্রুত ওজন কমাতে হবে তারা আদার সাহায্যে ওজন কমিয়ে আনতে পারেন। ওজন কমানো জন্য দ্রুত কোন উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম ।

ওজন কমানোর জন্য আদাকে যেভাবে ব্যবহার করতে হবেঃ

সবার প্রথমে এক গ্লাস 300 মিলি লিটার পানি নিয়ে এটিকে সেদ্ধ করে নিতে হবে।

পানি পুরি সেদ্ধ হয়ে যাবার পর এর মধ্যে 30 গ্রাম মত আদা কুচি দিয়ে দিতে হবে।

আদা কুচি দেয়ার পর পানি থেকে পাঁচ মিনিট সেদ্ধ করুন।

এটি 5 মিনিট সেদ্ধ করার পর সাহায্যের থেকে এটি একটি গ্লাসের মধ্যে নিয়ে নিন।

এবার এর সাথে এক চামচ লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন।

খাবারের নিয়মঃ

এটিকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাবেন। যারা খুব দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা দিনে দুবার করে এই প্রেমেরি টি পান করতে পারেন ।

বিকল্প রেমেড়িঃ

এক গ্লাস কুসুম জলের মধ্যে দু থেকে তিন চামচ আদার রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারবেন।

নোটঃ

১। আপনাদের যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তারা এই রেমেডি হতে লেবুর বাদ দিবেন ।

২। আপনারা পিওর মধু ব্যবহার করবেন। পিউর মধু না পেলে আপনারা শুধু মাত্র আধা সেদ্ধ খেতে পারবেন।

৩। ওজন কমানোর জন্য প্রথম রেমিডি টি তৈরি করার সময় না থাকে তাহলে আপনারা বিকল্প রেমিডি কি ব্যবহার করেও আদার সাহায্যে ওজন কমাতে পারবেন ।

১৬। চুল পড়া কমাতেঃ

যারা চুল পড়ার সমস্যা নিয়েই ভুগছেন তারা নিজেদের চুল পড়া কমানোর জন্য আদার সাহায্য নিতে পারেন। আদার আদার মধ্যে থাকা উপায় গুলি চুল পড়া কমিয়ে আনতে সহায়তা করে ।

চুল পড়া কমাতে আদা ব্যবহারঃ

থেকে তিন চামচ আদার রসের সাথে দুই চামচ নারকেল তেল এবং দুই চামচ অলিভ অয়েল যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এটিকে মাতা গল্পের মধ্যে লাগিয়ে নিন।

লাগানোর পর মাথার মধ্যে 5 মিনিট ম্যাসাজ করুন। এটি 5 মিনিট ম্যাসাজ করার আরো পাঁচ মিনিট রেখে দিন।
এরপর ব্যবহারের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন ।

আদাকে চুলের মধ্যে এই ভাবে লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে।

নোটঃ

আদার সাহায্যে চুল পড়া কমাতে আদা খেয়ে এভাবে সপ্তাহে 3 দিন ব্যবহার করুন অন্তর। তিনদিন ব্যবহারের সময় না পেলে সপ্তাহে অন্তত এক বার ব্যবহার করুন ।

 

১৭। খুশকি দূর করেঃ

আমাদের মাথার তালুতে যখন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয় ঠিক তখনই আমাদের মাথার মধ্যে খুব বেশি খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায়। আমাদের সবার কমবেশি খুশকির সমস্যা রয়েছে।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবার জন্য আদাকে ব্যবহার করলে অসাধারণ ফলাফল পাওয়া যায়।
কারণ আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যেটি মাথার তালুর মধ্যে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ গুলোর দিকে মাথার তালু কে রক্ষা করে । আর যদি ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমনের ফলে খুশি হয়ে যায় সেই ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলে মাথার তালুতে খুশকি মুক্ত রাখে। তাই চুল হতে খুশকি দূর করার জন্য অনন্য একটি উপাদান হলো আদা।

ব্যবহারঃ

তিন চামচ আদার রসের সাথে ভিটামিন ই অয়েল করে যদি মাথার তালুর মধ্যে 5 মিনিট ম্যাসাজ করা যায় তাহলে খুশকি দূর হবে। তবে এক্ষেত্রে 5 মিনিট ম্যাসাজ করার পর এটিকে চুলের মধ্যে আরও 25 মিনিট রেখে দিতে হবে। 25 মিনিট রাখার পর ব্যবহার ব্যবহারের শ্যাম্পু ধুয়ে নিতে হবে । এভাবে সপ্তাহে দুবার আদার রস ব্যবহার করা তাহলে আমাদের হতে খুশকি দূর হয়ে চুল হবে ঝলমলে সুন্দর।

১৮। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ

অনেকের উচ্চ রক্তচাপ না থাকলেও হৃদ রোগ রয়েছে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সহায়তা করে । উচ্চ রক্তচাপ না থাকলেও যাদের হূদরোগ রয়েছে তারা আদার সাহায্যে নিজেদের হৃদ রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন।

প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানির সাথে যদি ৩ চামচ আদার রস মিশিয়ে পান করা যায় তাহলে রোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। এর কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য আদার রসের সাথে মধু ও লেবুর রস যোগ করা যেতে পারে ।

বন্ধুরা আপনারা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবার জন্য আজকে এই ভাবে খেতে থাকুন এভাবে যদি রাখে খান তাহলে আপনারা দেখতে পাবেন আপনাদের শরীর হতে হৃদরোগের ঝুঁকি পুরোটাই কমে গেছে এবং আরেকটি একটি সুন্দর সুস্থ্য জীবন পাবেন ।

বন্ধুরা আপনাদের সাথে আধার অনেকগুলো উপকারিতা শেয়ার করলাম এছাড়াও আদার উপকারিতা রয়েছে যা আমি পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজ যতটুকু পরিমান উপকারিতা-অপকারিতা পাবার জন্য আপনারা আদাকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন

Leave a Comment